রাজধানীর দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর আতঙ্কে পড়েছেন অভিভাবকেরা। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চারটি হোস্টেলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। যাদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় থাকেন না, তারাও আশ্রয় নিচ্ছে আত্মীয়স্বজনের বাসায়। আজ সোমবার রাত থেকে হোস্টেল থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যেতে দেখা যায় অভিভাবক ও স্বজনদের।
প্রতিষ্ঠানটির চারটি হোস্টেলে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ শিক্ষার্থী থাকে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাবিদুল ইসলাম সৈকত জানায়, তার বাড়ি রাজবাড়ীতে। বিমান দুর্ঘটনার পর সারা দিন সে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। তবে তার পরিবার চায়নি, দুর্ঘটনার পর সে হোস্টেলে থাকুক। ফলে এখন সে তার মামা সাগরের বাসায় যাচ্ছে। তার মামার বাসা উত্তরা লেকপাড় এলাকায়। নাবিদুল মাইলস্টোন কলেজের হোস্টেল-৪-এর ৫০১ নম্বর কক্ষে থাকত।
শুধু নাবিদুলই নয়, ব্যাগপত্র গুছিয়ে হোস্টেল ত্যাগ করতে দেখা গেছে অনেক শিক্ষার্থীকে। এর আগে আজ বেলা ১টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৭১ জন। আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশই ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী।
আরও খবর পড়ুন: