রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমানবন্দরের রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ঢাকা অভিমুখী অন্তত ৮টি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বিকল্প গন্তব্যে অবতরণ করেছে।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, আনুমানিক দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে কার্গো ভিলেজ এলাকায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার সার্ভিসের ২৮টি ইউনিট এবং বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র স্কোয়াড্রন লিডার মো. মাহমুদুল হাসান মাসুদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের কারণে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে বন্ধ থাকবে।
তবে ৬টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরে সন্ধ্যার ৭টার দিকে জানানো হয়, রাত ৯টা পর্যন্ত ফ্লাইট ওঠানামা স্থগিত থাকবে।
অগ্নিকাণ্ডে বিমান চলাচলে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটছে। অনেক ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে বিকল্প বিমানবন্দরে চলে যায়। এর মধ্যে ব্যাংকক থেকে ঢাকাগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট এবং শারজাহ থেকে আসা এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইট চট্টগ্রামে অবতরণ করে। একইভাবে দিল্লি থেকে ঢাকাগামী ইনডিগোর একটি ফ্লাইট নেমেছে কলকাতায়।
হংকং থেকে ঢাকাগামী ক্যাথে প্যাসিফিকের একটি ফ্লাইট আকাশে চক্কর দিতে থাকে অবতরণের অনুমতির অপেক্ষায়। অন্যদিকে, সৈয়দপুর ও চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী দুইটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে আবার চট্টগ্রামে ফিরে যায়।
ঢাকাগামী আরও চারটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট—যার মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ২টি এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২ টি—চট্টগ্রামে ডাইভার্ট করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, মোট ৮টি ফ্লাইট (আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ) ঢাকায় অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রাম ও কলকাতায় অবতরণ করেছে।
এখন পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিস্তারিত তদন্ত শুরু হবে।