রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা), ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ অভিযোগ করেছে, সম্প্রতি স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-রিকশার নিবন্ধন ও লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, এটি শ্রমিকস্বার্থ ও গণস্বার্থবিরোধী। সংগঠনটির দাবি, এসব যানবাহনের নিবন্ধন ও লাইসেন্স প্রদানের দায়িত্ব কেবল বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অধীনে থাকা উচিত।
আজ বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও অনুরূপ যানবাহনের সঙ্গে জীবিকা নির্বাহ করছেন। অথচ অংশীজনদের মতামত না নিয়ে সিটি করপোরেশনকে ক্ষমতা দেওয়ার মাধ্যমে শ্রমিকদের জিম্মি করে ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়ার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব ড. মনীষা চক্রবর্তী লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে একটি নীতিমালার আওতায় আনতে বিআরটিএ ইতিমধ্যে তিন দফা খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। তিনি অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশনের কোনো কাঠামোগত প্রস্তুতি, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বা জনবল নেই যান্ত্রিক যানবাহনের নিবন্ধন দেওয়ার জন্য। এতে চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার ও ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে কয়েকটি দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিআরটিএর অধীনে অভিন্ন ও সমন্বিত নীতিমালা চূড়ান্ত করা, দেশীয় প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ব্যাটারিচালিত যানবাহনকে অনুমোদন দেওয়া এবং মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ।
দাবি পূরণ না হলে ১৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহর ও প্রধান জেলা শহরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।