শ্রমিকদের মজুরি কোন দান বা করুণার প্রাপ্তি নয়, এটা তাঁদের ন্যায্য অধিকার। এ জন্য ২০ রমজানের মধ্যেই এপ্রিল মাসের পুরো বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সমাবেশের সভাপ্রধান বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি সভাপ্রধান তাসলিমা আকতার দাবি করেন, ‘মালিকেরা রেকর্ডসংখ্যক অর্ডার পাচ্ছেন অথচ শ্রমিকদের পেটে ভাত নেই। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশ ছুঁয়েছে, সেই মুহূর্তে শ্রমিকেরা এই আশায় আছে যে বেতন বোনাসের টাকায় পরিবারের সঙ্গে সুন্দর একটা ঈদ কাটাবে। অথচ গার্মেন্টস মালিকেরা তাঁদের অর্ধেক মাসের বেতন দেওয়ার পাঁয়তারা করছে।’
গত ১১ এপ্রিল সরকার, মালিক ও শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৭১ তম সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই তৈরি পোশাকসহ প্রতিটি কারখানার শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার নির্দেশ দেন। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে তাসলিমা আকতার বলেন, ‘সরকার ও গার্মেন্টস মালিকেরা একযোগে শ্রমিকদের ওপর চড়াও হয়েছে। এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।’
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্য বাবুল হোসেন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।