রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক তরুণীকে গলা কেটে হত্যা করেছেন তাঁর কথিত প্রেমিক।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত তরুণীর নাম শ্যামলী খাতুন (২৮)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে সুজন (৪০) কৌশলে শ্যামলীকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে আসেন। তাঁরা নির্জন একটি কোণে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে সুজন উত্তেজিত হয়ে শ্যামলীকে গালাগাল করতে থাকেন। হঠাৎ করেই তিনি একটি ব্যাগ থেকে ধারালো চাকু বের করে শ্যামলীর গলা ও মুখে উপর্যুপরি আঘাত করেন। মুহূর্তেই শ্যামলী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা ছুটে এসে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা ঘাতক সুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে এবং পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুজন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। পরে তিনি আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, সুজন ও শ্যামলীর মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু শ্যামলী তাঁকে বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না। সুজনের সন্দেহ ছিল, শ্যামলী অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার আগে সুজন নিজ বাসা থেকে একটি চাকু সংগ্রহ করে শপিং ব্যাগে লুকিয়ে রাখেন। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, সুজন হত্যার দায় স্বীকার করলেও এর পেছনে অন্য কোনো প্ররোচনা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।