গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গরু চুরির ঘটনায় গণপিটুনিতে আহত বিপ্লব সরকার (৪৫) মারা গেছেন। আজ সোমবার সকালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। নিহত বিপ্লব সরকার নেত্রকোনা জেলার পাত্রশিদিয়া গ্রামের বিনোদ সরকারের ছেলে।
এর আগে এ ঘটনায় ১১ নভেম্বর শামিম মিয়া (৩৬) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ নভেম্বর নিহত শামিম মিয়ার মা মেহেরুন নেছা বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি দিয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর ভোর রাত ৩টার দিকে আট সদস্যের চোর চক্র মুকসুদপুর উপজেলার লখাইড়চর গ্রামের ঝিল্লু কাজীর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে একটি গাভি ও একটি বাছুর চুরি করে ট্রাকে নিয়ে পালানোর সময় উপজেলার পশারগাতী ইউনিয়নের হাজীবাগ গ্রামে জনতার হাতে ধরা পড়ে। তখন স্থানীয় জনতা তাঁদের গণপিটুনি দিলে মুকসুদপুর উপজেলার ফুলারপাড় গ্রামের মুন্নু মিয়ার ছেলে শামিম মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় বিপ্লব সরকারসহ অপর সাত চোর গুরুতর আহত হন। তাঁদের মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে তাঁদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।