রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন দনিয়া এলাকার রসুলপুরে ৭ দিন ধরে শতাধিক বাড়িতে নেই গ্যাস। এই এলাকায় শিশু, বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষসহ কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। ফলে গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তারা; বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস অফিসে অভিযোগ করেও কোনো কাজ হচ্ছে না।
রসুলপুরের ১০৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা জেসমিন জাহান বলেন, ‘টানা ৭ দিন ধরে চুলায় কোনো গ্যাস আসে না। ফলে আমাদের তিন সদস্যের পরিবারকে হোটেল থেকে কিনে খেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
এলাকার ৯৮ নম্বর বাড়ির আরেক বাসিন্দা মো. সেলিম ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমাদের পরিবারে ৪টি শিশু রয়েছে। টানা ৭ দিন চুলায় বিন্দু পরিমাণ গ্যাস না থাকায় খাওয়া-দাওয়ার চরম কষ্ট হচ্ছে। এইভাবে তিন বেলা হোটেল থেকে কিনে খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছে না।’
ওই এলাকার বাসিন্দা তাহমিনা বেগম বলেন, ‘সারা বছর গ্যাসের সমস্যা থাকে। কিন্তু এবার টানা এক সপ্তাহ চুলায় গ্যাস নাই। জানি না আর কত দিন এ রকম ভোগান্তিতে থাকতে হবে।’
তাহমিনা বেগম আরও বলেন, ‘এর মধ্যে অনেকে লাকড়ির চুলায় রান্না করছেন। আমরা প্রতি মাসে নিয়মিত বিল পরিশোধ করেও গ্যাস পাচ্ছি না। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস অফিসে অভিযোগ করেছি, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে তিতাস গ্যাসের ঢাকা মেট্রো রাজস্ব বিভাগ-১-এর উপমহাব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোটা এলাকায় কয়েক দিন ধরে গ্যাসের সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে এলএনজি না আসায় আবাসিক এলাকায় গ্যাস-সংকট দেখা দিয়েছে।’ এই সমস্যা দ্রুত সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।