হোম > সারা দেশ > ঢাকা

‘তলব না করেই’ হামলা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন, ক্ষোভ ঝারলেন গোলাম মওলা রনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

গোলাম মাওলা রনি। ছবি: সংগৃহীত

‎গত বছরের মে মাসে পটুয়াখালী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন তিনি। সম্প্রতি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। রনি দাবি করেছেন, প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ করেননি। তাঁকে তলবও করেননি।

আজ বুধবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট দিয়েছেন রনি। তাতে তিনি ঘটনাবলি তুলে ধরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীকে প্রশ্ন করেন, ‘আমার এখন কী করা উচিত?’

‎সাবেক সংসদ সদস্য ওই পোস্টে শেখ মো. সাজ্জাত আলীর একটি ছবি দিয়ে লেখেন, ‘ছবির ভদ্রলোককে সালাম এবং শুভেচ্ছা! তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। তবে তিনি যেদিন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পেলেন, তখন তাঁর প্রাথমিক কথাবার্তা শুনে আমার মনে হয়েছে যে তিনি সৎ, দক্ষ, অভিজ্ঞ এবং ভালো মানুষ! অথচ তাঁর সময়কালে তাঁরই অধীনস্থ অফিসের তুঘলকি কাণ্ডে আমি রীতিমতো অপমানিত, বিব্রত এবং ক্ষতিগ্রস্ত! তাই সুবিচারের আশায় আমার বিষয়টি তাঁর সমীপে পেশ করলাম!

‘‎আওয়ামী লীগ জমানার শেষ দিকে অর্থাৎ, ২০২৪ সালের মে মাসের ২১ তারিখ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর হয়ে আমি অফিসে আসছিলাম। আমার গাড়ি টিএসসি হয়ে জাতীয় চার নেতার মাজারের কাছাকাছি আসামাত্র কয়েকজন সন্ত্রাসী হাতুড়ি এবং অন্যান্য অস্ত্র হাতে আমার গাড়ির গতি রোধ করে। তারা আমার গাড়ির উইন্ডশিটের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং গাড়ির দরজা খুলে আমার ওপর আক্রমণ চালায়!

‘আমার ড্রাইভার দ্রুত গাড়ি টান দিলে সন্ত্রাসীরা গাড়ির পেছনে ছুটতে থাকে। কিন্তু রাস্তা ফাঁকা থাকায় প্রাণ নিয়ে অফিসে পৌঁছাতে সক্ষম হই! ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে মিডিয়ায় চলে যায়। নিউমার্কেট থানা ঘটনা ঘটার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ডিবি, সিআইডি, পিআইবির টিমও ঘটনাস্থলে যায়। ডিএমপির তখনকার কমিশনার, মহানগর ডিবির প্রধানসহ পুলিশের বড় কর্তাবৃন্দ আমাকে ফোন করেন! সবার অনুরোধে আমি শাহবাগ থানায় মামলা করি, যার নম্বর-২৯ তারিখ ২১ /০৫ /২০২৪।

‎‎‘থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমার অফিসে আসেন এবং ২ /৩ দিন সর্বোচ্চ চেষ্টা-তদবির করার পর তিনি জানান যে, মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে! তখন ডিবির প্রধান জনাব হারুন একাধিকবার ফোন করেন! আজাদ নামে ডিবির একজন ইন্সপেক্টর তদন্তের দায়িত্ব পান এবং তিনি প্রায় ২ /৩ সপ্তাহ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। ইতিমধ্যে জুলাই বিপ্লব শুরু হয় এবং ইন্সপেক্টর আজাদ বদলি হন!

‎‎‘আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আমার আশা ছিল স্বৈরাচারী আমলে একজন ভিন্নমতের বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী হওয়া সত্ত্বেও পুলিশের কাছ থেকে যে সাহায্য পেয়েছিলাম, তা হাল আমলে আরও সুন্দর হবে। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য, পুলিশ মামলার ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। আর পুলিশের দুর্ভাগ্য, মামলার ফাইনাল রিপোর্ট প্রদানকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি বারের জন্য আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি, ফোন করেননি কিংবা আমার সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আমাকে তলব করেননি! উল্লেখিত অবস্থায় মান্যবর ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নিকট জিজ্ঞাসা, আমার এখন কী করা উচিত!’

মাদারীপুরের ৩টি আসন: বিভক্ত বিএনপি, এগিয়ে জামায়াত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

জাবিতে শেখ পরিবারের নামে থাকা ৪ হলের নাম পরিবর্তন

সাবেক এমপি শাজাহান খানের মেয়ে ও নুরুন্নবী চৌধুরীর স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা অনুমোদন

ধর্ষণের মামলায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে

নির্বাচনের আগে ডিএমপির ৫০ থানায় নতুন ওসি

যন্ত্রপাতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অনন্ত নিটওয়্যারের এমডিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদারের মামলা

বাম দলের যমুনা যাত্রা কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০

দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল: গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার