ফরিদপুরের ভাঙ্গায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন।
জানা যায়, জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন ১৩ নভেম্বর ভাঙ্গা উপজেলাধীন দুটি মহাসড়কের অন্তত পাঁচটি এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছিল নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র হাতে প্রায় চার ঘণ্টা সড়কে অবস্থান করেছিল।
এ ঘটনার পর পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ভাঙ্গা উপজেলা থেকে ২২ জনকে আটক করা হয়। সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের দাবিতে আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন। এ ছাড়া গতকাল রোববার (১৬ নভেম্বর) সড়কে গাছ ফেলে ভোরে ঘণ্টাখানেক অবরোধ করা হয়। ওই সময় ঘটনাস্থল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
আজ সোমবার সকাল থেকেই ভাঙ্গা গোল চত্বরসহ ঢাকা-খুলনা, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোথাও বিশৃঙ্খলা বা সড়ক অবরোধের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাঙ্গা গোলচত্বর পরিদর্শনে আসেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক। এ সময় পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিলসহ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, জনসাধারণের জানমাল রক্ষা ও নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে চার প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন।