কোরবানির ঈদের পরে পশুর চামড়া সংরক্ষণে অনভিজ্ঞতার কারণে চামড়ার দাম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
উপদেষ্টা বলেছেন, এ বছর কোরবানিতে প্রতিবেশী দেশ থেকে গবাদিপশু আমদানি না করায় লাভবান হন দেশীয় খামারিরা।
আজ রোববার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় ফরিদা আখতার এসব কথা বলেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, এতিমখানা ও মাদ্রাসা কোরবানির পশুর চামড়া নিয়েছে। সরকারের পক্ষে বিনা মূল্যে লবণ সরবরাহ করা হলেও পশুর চামড়া সংরক্ষণে অভিজ্ঞতা না থাকার ফলে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। চামড়ার দাম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় না থাকলেও আগের যেকোনো বছরের চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো ছিল।’
বিজ্ঞপ্তিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, এ বছর ঈদুল আজহায় যাতায়াত, কোরবানি, কোরবানির মাংসসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিস্থিতি অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় সার্বিকভাবে ভালো ও স্বস্তিদায়ক ছিল। আরও স্বস্তির বিষয় হলো, এ বছর কোরবানিতে প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র থেকে গবাদিপশু আমদানি করা হয়নি। ফলে দেশীয় খামারিদের অনেক বেশি গরু বিক্রি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, এবার কোরবানি ঈদে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে; যার মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ৪৭ লাখ ৫ হাজার ১০৬টি; ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি এবং উট, দুম্বাসহ অন্যান্য ৯৬০টি।
এবার ঈদুল আজহায় অবিক্রীত পশু ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। এর কারণ হিসেবে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়, এ বছর কোরবানির পশুর উৎপাদন বেশি ছিল। তাই পশু অবিক্রীত থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া অবিক্রীত এই পশু আগামী দিনে বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে দরকার পড়বে।