সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সপ্তম দফায় আজ সোমবার ৬০ নম্বর সাক্ষী উপপুলিশ পরিদর্শক কামাল হোসেনকে দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সকাল সোয়া ১০টায় এ মামলার কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিন এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, এ মামলার মোট সাক্ষী ৮৩ জন। এ পর্যন্ত মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসসহ ৫৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। বাকি সাক্ষীদেরও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য সমন জারি করেছেন আদালত।
ফরিদুল আলম জানান, আজ এসআই মো. কামাল হোসেন, কনস্টেবল মোশারফ হোসেন, সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আয়ুব আলী, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, পুলিশ পরিদর্শক এবিএম শামসুদ্দোহা ও সহকারী পুলিশ সুপার জামিলুল হকের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে তোলা হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের পর র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘পরিকল্পিত ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার ১৫ আসামি কারাগারে রয়েছে।