মিয়ানমারের বিভিন্ন জেলে কারাভোগ শেষে ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরেছেন। আজ মঙ্গলবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে অনুষ্ঠিত ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তাঁরা দেশে ফেরেন।
দেশটির ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাখাইনের সিতওয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটের চেষ্টায় এ প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়েছে বলে দূতাবাসের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এবার যাঁরা ফিরলেন, তাঁদের মধ্যে ২৩ জন কক্সবাজার, চারজন বান্দরবান এবং দুজন রাঙামাটি জেলার অধিবাসী। সীমান্ত পথে মিয়ানমারে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের অভিযোগে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) তাঁদের বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে মিয়ানমারে বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ড দেওয়া হয়।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন ও সিতওয়ের বাংলাদেশ কনসাল জাকির আহমেদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১০ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশের কনস্যুলেটও ছিলেন।
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন গত ২৭ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়ার ফে’র সঙ্গে সাক্ষাতে দ্রুত বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সহযোগিতা কামনা করেন।
এর আগে ২০২২ সালের ২৩ মার্চ ৪১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছিলেন।