পর্যটন শহর কক্সবাজারবাসীর বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের রেলপথ আগামীকাল শনিবার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে কক্সবাজার। রং-বেরঙের পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, তোরণের পাশাপাশি আলোকসজ্জার মাধ্যমে পুরো কক্সবাজারে বইছে সাজ সাজ রব।
২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বরের পর আগামীকাল আবারও কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী। দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধনের পর মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
দ্বাদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। মহেশখালীর মাতারবাড়ীর এই জনসভার পর প্রধানমন্ত্রী নরসিংদী ও খুলনায় জনসভা করবেন। এরপর নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর সিলেট থেকে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জনসভায় লোকসমাগমের পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণায় নিজেদের অবস্থান জানান দিতে কাজ করতে দেখা গেছে।
এদিকে রেলপথ উদ্বোধনকে ঘিরে বিভিন্ন শ্রেণির-পেশার মানুষের মধ্যেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। সরকারপ্রধানকে বরণ করতে কক্সবাজারজুড়ে নানা আয়োজন চলছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, কক্সবাজার শহরের বিমানবন্দর সড়কে প্রধানমন্ত্রীর চলাচলের পথে শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনের আশপাশে সড়কে তোরণ, ফেস্টুন, বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে পুরো জেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছেন। কক্সবাজার রেলস্টেশনে ঝিনুক আকৃতির পানির ফোয়ারাটি চালু করা হয়েছে। স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থলের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে।
রেলপথ উদ্বোধনের পর ট্রেনে করে চট্টগ্রাম যাওয়ার আশা ব্যক্ত করে চকরিয়া বদরখালীর আব্দুল করিম বলেন, ‘ট্রেনে চড়ার শখ দীর্ঘদিনের। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের আশা পূরণ করেছেন। আমি রেলপথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সশরীরে গিয়ে দেখব।’
কক্সবাজার সরকারি কলেজের আবিদ হামিম বলেন, ‘ছোটবেলা বইয়ে ট্রেনের বিষয়ে পড়েছি। সাগরপাড়ে ট্রেন আসবে, তা কোনো দিন কল্পনা করিনি। এখন আমরা ট্রেনে চড়ে ঢাকা যেতে পারব।’
চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনসভায় পাঁচ হাজার যুবলীগের নেতা-কর্মী অংশ নিচ্ছেন।’
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আশা করছি, লাখো মানুষের সমাগমে জনসভাকে জনসমুদ্রে রূপ দেওয়া হবে।’
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে পুরো কক্সবাজারে মাঠ পর্যায়ে নিরাপত্তায় জেলা পুলিশ, র্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত রয়েছে।