ইয়াবা পাচারের দায়ে কক্সবাজারে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তাঁকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আরেক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম।
দণ্ড পাওয়া আসামি হলেন জেলার টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর লম্বরী এলাকার আহম্মদ কবির। খালাস পেয়েছেন একই এলাকার নুর মোহাম্মদ ওরফে খুলু।
মামলা থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি রাতে টেকনাফের উত্তর লম্বরী এলাকায় আহম্মদ কবিরের মালিকানাধীন মুরগির খামারে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ২২ হাজার ১৪০টি ইয়াবা উদ্ধার করে র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের একটি দল। এ সময় কবিরসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন এই ঘটনায় র্যাবের তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনায় ২০২১ সালের ৬ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন এসআই আব্দুল বাতেন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। পরে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
পিপি বলেন, মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। বিচারে মামলার প্রধান আসামি কবিরকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় বিচারক তাঁকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন। এ ছাড়া নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় নুর মোহাম্মদ ওরফে খুলু নামের এক আসামি খালাস পেয়েছেন। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।