কক্সবাজারের টেকনাফে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে। মুক্তিপণ না দিলে ওই শিশুকে আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকিও দিয়েছেন অপহরণকারী।
গতকাল রোববার বিকেলে ওই শিশুকে অপহরণ করা হয়। শিশুটির নাম মোহাম্মদ হোছাইন ওরফে সূর্য। সে হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। ও ওই এলাকার সোলতান আহমেদের ছেলে।
শিশুটির পরিবার জানায়, গতকাল বিকেলে বিদ্যালয় থেকে শিশুটি বাড়ি ফিরছিল। পথে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। ওই দিন রাতেই অপহরণকারীরা শিশুটির বাবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। টাকা না দিলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার হুমকিও দেওয়া হয়।
শিশুটির বাবা সোলতান আহমেদ জানান এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। তাঁরা জানান, সম্প্রতি উপজেলায় অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সখ্যতা করে কিছু স্থানীয়রাও এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তাই প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ ছাড়াও রোহিঙ্গারা হাতে টমটম গাড়ি ও সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে যত্রতত্র দেদারসে ঘোরাঘুরি করছে। এসব গাড়ি করে অপহরণ করার অভিযোগ উঠেছে। তাই রোহিঙ্গাদের হাতে এসব গাড়ি চালানো থেকে বিরত রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন ভুক্তভোগীরা।
শিশু অপহরণের বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বলেন, গতকাল রাতে থানায় জিডি করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গত শুক্রবার লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচজনকে অপহরণ করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আসছে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণ না দেওয়ায় শনিবার রাতে এক কিশোরের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ওই হাতসহ তাকে ফেরত পাঠায়। মুক্তিপণ না দিলে বাকিদের হত্যা করা হবে বলে পরিবারের কাছে হুমকি দিয়েছে।