বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১৪ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ সাগর উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিলেন তাঁরা। এ ঘটনায় আরও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে সাত শিশু, পাঁচ নারী ও দুজন পুরুষ রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথমে ১০ জন এবং পরবর্তী সময়ে আরও ৪ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সূত্র জানিয়েছে, সকালে চারটি ট্রলার করে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে।
টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবদুর রশিদ বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে আসার সময় টেকনাফ সাগর উপকূলে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুসারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা স্বজনদের কাছে নিহতদের মরদেহগুলো হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে। ডুবে যাওয়া নৌকায় ৩১ জন রোহিঙ্গা ছিল বলে বলে জানা গেছে।’
এর আগে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী জানিয়েছিলেন, রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলারডুবির ঘটনায় ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরও কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। যারা বিজিবি হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত দুদিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে হাজারো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা। এর মধ্যে অনুপ্রবেশ করা বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।