কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার মো. হাসিমকে (২৮) ছেড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা নুর হোসেন। তাঁর দাবি, দুর্বৃত্তদের কথামতো জাদিমুরা গহিন পাহাড়ের একটি স্থানে ৪ লাখ টাকা রেখে আসার পর হাসিমকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার টেকনাফে মো. হাসিম অপহরণের শিকার হন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, অপহরণকারীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন।
হাসিমের বাড়ি টেকনাফের সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের কোনাপাড়া এলাকায়।
নুর হোসেন জানান, অপহরণের পর মুক্তিপণের জন্য দফায় দফায় ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথামতো টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তাদের দেওয়া তথ্যমতে টেকনাফের জাদিমুরা গহিন পাহাড়ের একটি স্থানে গিয়ে ৪ লাখ টাকা বিকেল ৪টার দিকে রেখে আসেন। পরে ৫টার দিকে একই পাহাড়ে তাঁর ছেলে হাসিমকে ছেড়ে দেয়। তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি জানান, মো. হাসিম ১০ আগস্ট সকালে সেন্ট মার্টিন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। টেকনাফে পৌঁছে তাঁর অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া এবং দোকানের মালপত্র কেনার কথা ছিল।
পরে ১৬ আগস্ট কাজ শেষ করে দোকানের জন্য মালপত্র কিনে সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশে রওনা করার জন্য টেকনাফের কায়ুকখালীয়া নৌঘাটের সার্ভিস ট্রলারের অফিসে যান। এর পর থেকে ছেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
নুর হোসেন আরও বলেন, এরপর ইমো নম্বরে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ব্যাপারে জানতে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, এ নিয়ে গত ১৮ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৫৬ জন অপহরণের শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।