হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

টেকনাফে ট্রলারডুবি: আরও ১২ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় কক্সবাজারের টেকনাফের বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১২ রোহিঙ্গার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে ৩১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার ১৪ জন ও গতকাল বুধবার ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন নারী, ১৫ জন শিশু ও ৩ জন পুরুষ রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ সাগর উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিলেন তাঁরা। এ ঘটনায় আরও ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এ ছাড়া দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।

তিনি জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের মাধ্যমে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে লাশগুলো দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ি স্থল ও জলসীমা দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি ও টহল জোরদার করেছে কোস্টগার্ড ও বিজিবি। গত ৩ দিনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা।

জনপ্রতিনিধিরা জানান, নৌকাযোগে বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে অনুপ্রবেশ করা অনেক রোহিঙ্গাই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা এদের মধ্যে দুই শতাধিককে আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এর প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে শাহ পরীর দ্বীপ মোহনায় টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। এ ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া ও টেকনাফের স্থল সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে।

বুধবার দুপুরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাগরে কোস্ট গার্ডের টহল জোরদারের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোনো অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে টেকনাফ, শাহ পরীর দ্বীপ, বাহারছড়া, সেন্টমার্টিন ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাই স্পিড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।

তিনি আরও বলেন, টেকনাফ, শাহ পরীর দ্বীপ, বাহারছড়া ও সেন্টমার্টিনে অতিরিক্ত জনবল ও সরঞ্জাম মোতায়েন করে পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল কুতুবদিয়ার লাইটহাউস সি-বিচ

নাফ নদ এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশির বাড়িতে

ইয়াবাসহ ২ নারী গ্রেপ্তার

মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫০০ বস্তা সিমেন্টবোঝাই দুটি ট্রলার জব্দ, আটক ২২

টেকনাফে ট্রাকের ধাক্কায় খাদে অটোরিকশা, চালকসহ নিহত ২

টেকনাফের পাহাড় থেকে নারী, শিশুসহ ৭ জন উদ্ধার, আটক তিন মানব পাচারকারী

সমুদ্র উপকূলে ডাকাতের কবলে পড়া ১১ জেলেকে উদ্ধার করল কোস্ট গার্ড

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের সর্বনাশ ঘটিয়ে পালিয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ

কক্সবাজারে নদীবন্দরের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উত্তেজনা, জমির মালিকানা দাবি করে বিক্ষোভ

বিশেষ চাহিদার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা