৬৩ ঘণ্টায়ও কক্সবাজারের হিমছড়ি সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের সন্ধান মেলেনি। গত মঙ্গলবার সকালে অরিত্র হাসান ও তাঁর দুই সহপাঠী সাগরে ভেসে যান।
ভেসে যাওয়ার আড়াই ঘণ্টার মধ্যে কে এম সাদমান রহমান সাবাব (২১) নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ সৈকতে ভেসে আসে। পরদিন বুধবার সকালে ২৫ কিলোমিটার উত্তরে শহরের নাজিরারটেক শুঁটকি মহাল সৈকতে ভেসে ওঠে আসিফ আহমেদ (২২) নামের আরও এক শিক্ষার্থীর মরদেহ।
এর মধ্যে আসিফ বগুড়া সদরের নারুলি দক্ষিণের বাসিন্দা রফিকুল ইসলামের ছেলে এবং চবির ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। সাবাব ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মো. ফরহাদ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
অরিত্র হাসান বগুড়ার দক্ষিণ সনসনিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে।
এদিকে নিখোঁজ অরিত্র হাসানের সন্ধানে সাগরে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।
আপেল মাহমুদ জানান, ফায়ার সার্ভিস, লাইফগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীদের সমন্বয়ে ঘটনার পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় খবর দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে সি-সেফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীর খোঁজে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের মহেশখালী থেকে টেকনাফের নাফ নদীর মোহনা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে উদ্ধার কাজ করছেন।
সি-সেফের আঞ্চলিক পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, হিমছড়ি সৈকতে একাধিক গুপ্তখালের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সেখানে গোসল করা ঝুঁকিপূর্ণ ও উদ্ধার তৎপরতাও নেই। ভেসে যাওয়া শিক্ষার্থীরা গুপ্তখালে আটকা পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।