এক পাশে পাহাড় ও অন্য পাশে সাগর। এর মাঝে গেছে মেরিন ড্রাইভ। এ পথে চলতে ফিরতে দেখা মিলে বন্যপ্রাণী-পাখপাখালির হাঁকডাক, সমুদ্রের জলরাশিতে সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার, ঝাউবন ও সামুদ্রিক প্রাণীর অবাধ বিচরণ। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ৮০ কিলোমিটার সড়কে এ দৃশ্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বিমোহিত করে।
এ পথেই দেখা যাবে দরিয়ানগর, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা। পাহাড়-সমুদ্রের এ মিতালি দেখতে এবার পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ছাদখোলা বাসের যাত্রা শুরু হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন মেরিন ড্রাইভে পর্যটকদের ভ্রমণে দুটি টুরিস্ট বাস চালু করেছে। আজ শনিবার থেকে বাস দুটি এ সড়কে সংযোজন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার লাল-সবুজ রঙের ছাদখোলা বাস দুটি কক্সবাজার আনা হয়। টুরিস্ট বাস লেখা বিআরটিসির এই বাস দুটিতে কক্সবাজারের আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলোর ছবি লাগানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন থেকে জেলা প্রশাসন ছাদখোলা টুরিস্ট বাস দুটি লিজ নিয়েছে। এই টুরিস্ট বাসগুলো জেলা প্রশাসন পরিচালনা করবে। বাস দুটি কক্সবাজার শহরের সমুদ্রসৈকতের লাবণি, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট থেকে পর্যটকদের নিয়ে রেজুখাল ব্রিজ পর্যন্ত যাবে। এরপর তাদের তুলে দেওয়া হবে ব্রিজের অপর প্রান্তে অবস্থান করা অপর টুরিস্ট বাসে। এই বাস মেরিন ড্রাইভের টেকনাফ পর্যন্ত চলাচল করবে। পর্যটকেরা বাসে করে মেরিন ড্রাইভের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, একটি বাসে ৫৫ জন যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। নানা সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বাস দুটি করে পর্যটকদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যোগ করবে।