কক্সবাজারের টেকনাফের ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনার মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বহিষ্কৃত সাত সদস্যের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে বিচারক তাঁদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন। এই অর্থ অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা দায়রা ও জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সাত আসামিকে জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। আদালতের বিচারক বেলা ১১টায় রায় পড়া শুরু করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর কক্সবাজার সদর থানার পেছনের রোড থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে কয়েক ব্যক্তি টেকনাফের ব্যবসায়ী আবদুল গফুরকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। তাঁরা ব্যবসায়ীকে ‘ক্রসফায়ারে’ মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে স্বজনদের কাছে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়।
এ সময় এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই ফিরোজ, গোলাম মোস্তফা ও আলাউদ্দিন এবং দুই কনস্টেবল আল আমিন ও মোস্তফা আজমকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবদুল গফুর বাদী হয়ে ডিবি পুলিশের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। প্রায় ১০ মাস তদন্ত শেষে পুলিশ ব্যুরো অব
ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় ডিবির সাত সদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে রায় ঘোষণার সময় মামলার বাদী আবদুল গফুর উপস্থিত ছিলেন না। তবে তাঁর বড় ভাই টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় সেটি প্রমাণিত হয়েছে।