কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তে মিয়ানমারের উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপ আরসার সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার আগে মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে ঢুকে দুই শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী এই হামলা চালায় বলে তাঁরা জানিয়েছেন। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বলেছে, ‘ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। পরে বিজিবির সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গোলাগুলি শুরু হয়।’
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বিল হাজির বাড়ি সীমান্ত এলাকা থেকে গতকাল বিকেলে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেন বিজিবির সদস্যরা। তাঁদের মধ্যে আরসার এক শীর্ষ নেতার স্ত্রীও ছিলেন। তাঁদের আটকের পরই মিয়ানমার থেকে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করে দুই শতাধিক সন্ত্রাসী বিজিবির বিওপি লক্ষ্য করে কয়েক শ গুলি ছোড়ে। পরে আটক ব্যক্তিদের নিয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা মিয়ানমারে ঢুকে পড়ে।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে গোলাগুলি হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা গোলাগুলি চলে। ঘটনার পর থেকে বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিজিবির অতিরিক্ত সদস্য ঘটনাস্থলে রয়েছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘সন্ধ্যায় সীমান্তে গোলাগুলির খবর শুনে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ বিষয়ে পরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিস্তারিত জানানো হবে।’
পরে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে সাইফুল ইসলাম জানান, বালুখালী বিওপি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সীমান্তের কাছে সন্ধ্যার দিকে ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এ সময় বিওপির একটি টহল দল এগিয়ে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি শুরু করে। পাল্টা গুলি করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।