মহেশখালী: বয়স ১৪ বছর। মহেশখালী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। সংসারে অভাবের অজুহাতে প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তার মা-বাবা। তবে এই বিয়েতে রাজি নয় কিশোরী। বাবা–মাকে অনেক বুঝিয়েও কোনো কাজ হয়নি।
অবশেষে গত সোমবার মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয় সেই কিশোরী। বিস্তারিত খুলে বলে ইউএনও মাহফুজুর রহমানকে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই ছোট মহেশখালীর পশ্চিম সিপাহিপাড়া গ্রামে কিশোরীর বাড়িতে যান মাহফুজুর রহমান। এ সময় কিশোরীর মা-বাবা ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কিশোরীর মা-বাবাকে বুঝিয়ে বাল্যবিবাহটি রুখে দেন ইউএনও।
মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটি আমার অফিসে এসে অভিযোগ করে। সে জানায়, মা-বাবা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সৌদিপ্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। মেয়েটির বয়স ১৪ বছর। সে পড়তে আগ্রহী। মেয়েটির ভবিষ্যতের চিন্তা করে তার মা-বাবাকে বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছি।’
স্থানীয়রাও জানিয়েছেন, মেয়েটি খুব মেধাবী। তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিবারই ক্লাসে সে প্রথম হয়েছে। বিয়ের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় কিশোরীর প্রতি তাঁরা সবাই খুব খুশি।