হোম > সারা দেশ > কক্সবাজার

কক্সবাজারের সেই ২০০ কোটি টাকা মূল্যের খাসজমি দখলমুক্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আজ বুধবার সন্ধ্যায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজার শহরের কলাতলী হোটেল-মোটেল জোনের ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ২০০ কোটি টাকা মূল্যের ওই জমি দখলমুক্ত করতে জেলা প্রশাসন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও কক্সবাজার পৌরসভা যৌথভাবে অভিযান চালায়।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা পেয়ে জেলা প্রশাসনের এক নম্বর খাস খতিয়ানের জমিটি দখলমুক্ত করা হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী, কউকের সচিব সানজিদা বেগম ও সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন সুলতানার নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য অভিযানে অংশ নেন। প্রায় দুই ঘণ্টা দুটি বুলডোজার দিয়ে ১১২টি দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া চারপাশে দেওয়া টিনের বেড়া উচ্ছেদ করা হয়।

শারমিন সুলতানা বলেন, এক ব্যক্তি সরকারি জমি নিজের দাবি করে ভুয়া দলিল তৈরি করে জমিটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টেও মামলা হয়েছিল। আদালত জমিটি নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষে আদেশ দেওয়ার পর অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব সানজিদা বেগম বলেন, অনুমোদন না নিয়ে জেলা প্রশাসনের জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছিল।

কক্সবাজার সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে আজ বুধবার সন্ধ্যায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ২ একর ৩০ শতক খাসজমি দখলমুক্ত করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের এই খাসজমি কক্সবাজার জেলা মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সহসভাপতি ওবাইদুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দখলদার চক্র জাল কাগজ বানিয়ে দখল করে নেয়। চারপাশে উঁচু বেড়া দিয়ে সেখানে দোকানঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

অভিযোগ রয়েছে, সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্ত নামের এক ব্যক্তির নামে জাল কাগজপত্র বানিয়ে জমিটি দখল করা হয়েছে। সম্প্রতি সচ্চিদানন্দ সেনগুপ্ত এ প্রতিবেদকের কাছে দাবি করেছিলেন, এই জমি তিনি ওয়ারিশসূত্রে মালিক হয়েছেন। জমিটি তাঁর বাবার ক্রয় করা সম্পত্তি। তবে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, সচ্চিদানন্দের নামে কোনো খতিয়ান নেই। এ নিয়ে গত ৪ মে আজকের পত্রিকায় ‘২০০ কোটি টাকার খাসজমি দখল’ শিরোনামে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এর পরদিন (গত ৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কক্সবাজার জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবুর নেতৃত্বে ওই জমিতে অভিযানে যায়। দুদকের এই কর্মকর্তা ওই দিন এই জমি দখল করে স্থাপনা তৈরির সত্যতা পায়।

দুদকের সহকারী পরিচালক অনিক বড়ুয়া বাবু বলেন, খাসজমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। একটি চক্র সরকারি খাস খতিয়ানের আড়াই একর জমি জাল দলিল ও খতিয়ান তৈরি করে শতাধিক দোকানঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেয়।

কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

কক্সবাজারে নদীর তীরে মিলল যুবকের মরদেহ

চকরিয়ায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেল অটোরিকশা, শিশু নিহত

কক্সবাজারে দুই যুবদল কর্মী গুলিবিদ্ধ: পর্যটক সেজে লামায় লুকিয়ে ছিলেন ৫ আসামি

বাড়ির পাশে গর্তের পানিতে ডুবে প্রাণ গেল দুই শিশুর

আরাকান আর্মির জন্য নেওয়া হচ্ছিল ১৬০০ বাউন্ডলি, গ্রেপ্তার ৩

কোস্ট গার্ডের হাতে নিষিদ্ধ ট্রলিং জাল, বোটসহ ৫৩ জেলে আটক

কক্সবাজারে পার্কিংয়ে থাকা বাসে আগুন

পর্যটনের নতুন দুয়ার খুলল কুতুবদিয়ার লাইটহাউস সি-বিচ

নাফ নদ এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, গুলি এসে পড়ল বাংলাদেশির বাড়িতে