ঈদ উপলক্ষে আশ্রয় শিবির থেকে বাইরে বেড়াতে বের হয়ে সাড়ে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গা আটক হয়েছেন। আজ কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
এই রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয়শিবির থেকে ঘুরতে বের হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজার এখন পর্যটকে ভরপুর। আজ বুধবার সকাল থেকে সৈকতের লাবনী, সুগন্ধা ও কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, সৈকতের বিভিন্ন স্পটে রোহিঙ্গাদের দলবদ্ধ হয়ে ঘোরাঘুরি করার খবর পেয়ে দুপুর থেকে পুলিশ একাধিক টিমে বিভক্ত হয়ে অভিযান চালায়। সৈকতের লাবনী সুগন্ধা কলাতলীসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাড়ে ৪ শতাধিক রোহিঙ্গাকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে নারী ও শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক রোহিঙ্গা রয়েছেন। তাঁরা বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসেছেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘এমনিতেই কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এসেছে। তাঁদের নিরাপত্তার একটা বিষয় রয়েছে। ক্যাম্প থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা সৈকতে এসে ঘোরাফেরা করলে সৈকতে আসা পর্যটকদের মনে ভীতির সৃষ্টি হতে পারে। ক্যাম্প থেকে এভাবে রোহিঙ্গারা বের হতে পারে না।’
আটক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাঁরা কোন কোন ক্যাম্প থেকে বের হয়েছেন তা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘আটক রোহিঙ্গাদের নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানোর চিন্তাভাবনা চলছে।’