চট্টগ্রামে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) কমপ্লেক্স লিমিটেডের শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) নির্বাচনে ১৫ পদে বিনা ভোটে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ১৯ পদের বিপরীতে ২৩টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১৫ পদেই একক প্রার্থী বলে জানা গেছে।
বাকি চার পদে দ্বৈত প্রার্থী থাকলেও আগামীকাল ১৭ সেপ্টেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিনে সেগুলোতে একক প্রার্থী হয়ে যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধারণা। আগামী ৫ অক্টোবর এই নির্বাচন হওয়ার কথা।
ইউনিয়নের একাধিক সূত্র বলছে, মূলত বিএনপি-আওয়ামী লীগ-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা পদ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। ১৯ পদের ভাগাভাগিতে ১২টি বিএনপি, ২টি জামায়াত এবং ৫ পদ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিতরা।
এ বিষয়ে ওই নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রার্থীরা ২৩টি মনোনয়নপত্র কেনার পর সেগুলো জমাও দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন (১৭ সেপ্টেম্বর) বোঝা যাবে, কারা নির্বাচনী দৌড়ে রয়েছেন।
টিএসপি থেকে পাওয়া তথ্যমতে, টিএসপি সিবিএ নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৬০। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে অনেকে তোড়জোড় শুরু করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ভোটে শ্রমিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা সমঝোতায় জোর দেন। একসময় সমঝোতা হয়ে যায়।
একটি সূত্র বলছে, পদ ভাগাভাগির সমঝোতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন পতেঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি নিজের সভাপতি পদটি বিনা ভোটে ইতিমধ্যে নিশ্চিত করেছেন।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিনা ভোটে সভাপতি হতে যাওয়া মো. শাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, ‘সিবিএ নির্বাচনে আমরা ইতিমধ্যে বিএনপির জন্য ১২টি, জামায়াতের জন্য ২ ও অন্যদের জন্য ৫টি পদ সমঝোতার ভিত্তিতে নিশ্চিত করেছি।’ অন্যদের ৫ পদ আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা পাচ্ছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যাঁদেরকে রাখা হয়েছে, তাঁরা আওয়ামী লীগ বা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে তেমন সম্পৃক্ত ছিলেন না।’
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী থাকা আওয়ামী লীগ-সমর্থিত মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিক লীগের সঙ্গে আমি অনেক আগে সম্পৃক্ত ছিলাম। এখন সেসব ছেড়ে এসেছি।’