চট্টগ্রামের একটি হোটেলে ১৭ বছর আগে এক তরুণীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞা এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত ইউসুফ বিন আলম নোয়াখালীর চর জব্বর থানার চর মজিদ এলাকার জহুর আলমের ছেলে।
এই বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, তরুণীকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আনা অভিযোগ আদালতের সামনে প্রমাণিত হয়েছে। এই কারণে আসামি ইউসুফ বিন আলমকে উল্লেখিত সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে ইউসুফ বিন আলম পলাতক রয়েছেন বলেও জানান এই বেঞ্চ সহকারী।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৫ মে নগরীর কোতোয়ালি থানার স্টেশন রোডস্থ হোটেল ছোবাহান (আবাসিক) এর ১০৬ নম্বর কক্ষে ইউসুফ বিন আলম ও রিমা স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে ওঠেন। ঘটনার দুই দিন পর ৭ মে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ইউসুফ রিমাকে রুমে তালাবদ্ধ রেখে বাইরে বেরিয়ে যান।
ওই বেলা ১২টা পর্যন্ত ইউসুফ ফিরে না আসায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশসহ রুমের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে রিমার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলা পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০০৮ সালের ৮ জুন আদালতে আসামি ইউসুফ বিন আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়। বুধবার রায় ঘোষণা করা হয়। মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে মোট ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানান ওমর ফুয়াদ।