চট্টগ্রাম নগরীকে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত এবং একই সঙ্গে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের সমাপ্তির ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় নগরীর দামপাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কন্ট্রোলরুমে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এ ঘোষণার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডারসহ ৩৬৯টি গাড়ি নিয়ে ৪২০০ শ্রমিক পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে পানি ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে কোরবানির স্থানটিকে পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে নগরীর কোরবানির বর্জ্য অপসারিত হয়েছে। এর পরও নগরীর কোথাও বর্জ্য পড়ে থাকলে দামপাড়া কন্ট্রোলরুমে জানাতে বলা হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় বিকেলে বা দেরিতে কোরবানি দেওয়ার সংস্কৃতি থাকায় সেসব বর্জ্য অপসারণেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেকে কোরবানির পরদিন কোরবানি দেন, সেই বর্জ্যও আমরা অপসারণ করব।’
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকার কোথাও জবাইকৃত পশুর বর্জ্য কোরবানি দিন রাত ৮টার পরে পড়ে থাকতে দেখা গেলে তাৎক্ষণিকভাবে কন্ট্রোলরুমে ০২৩৩৩৩৮৯১২২,০২৩৩৩৩৮৯১২১ অথবা ০১৮৯৪-৮৮৩০০৫,০১৮১১-৮০৩৬৬৬, ০১৭৬১-৪২৬৩৭১ নম্বরে জানাতে অনুরোধ করেছেন।’
এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।