হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ইউপিডিএফ নেতা শান্তিদেব চাকমা আর নেই

রাঙামাটি প্রতিনিধি

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক শান্তিদেব চাকমা মারা গেছেন। স্ট্রোক করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে গতকাল শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান। 

শান্তিদেবের বাড়ি রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের ডানে ত্রিপুরাছড়া গ্রামে। 

শান্তিদেবের মৃত্যুতে ইউপিডিএফের সভাপতি প্রসিত খীসা ও সাধারণ সম্পাদক রবি শংকর চাকমা এক শোক বার্তায় শান্তিদেব চাকমার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। শোক বার্তায় তাঁরা বলেন, শান্তিদেব চাকমা নিপীড়িত-নির্যাতিত জনগণের মুক্তির লক্ষে একনিষ্ঠ সংগঠক ছিলেন। তিনি কলেজজীবনে ১৯৮৫ সালে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামের গোপন ছাত্র সংগঠন হিল ইয়ুথ অ্যান্ড স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশনে যুক্ত হন। এ সময় তিনি রাঙামাটিতে সেনা নজরদারি এড়িয়ে সংগঠনটির তৎপরতা চালাতেন এবং তখনকার দিনে চিঠি যোগাযোগের মাধ্যমে রাঙামাটির সাংগঠনিক প্রতিবেদন দিতেন। 

 ১৯৮৯ সালে এরশাদের জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে প্রচারিত বুকলেট (ফুলবিঝু, এপ্রিল ১৯৮৯) রাঙামাটি কলেজ ও সদরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গোপনে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখেন এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার কাজে যুক্ত ছিলেন বলে শোক বার্তায় জানানো হয়। 

 ১৯৮৯ সালের ২০ মে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ গঠিত হলে শান্তিদেব যুক্ত হন এবং ফেনীতে পিসিপি গঠনে নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় পিসিপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বিস্তারে ভূমিকা রাখেন। বিতর্কিত পার্বত্য চুক্তি সইয়ের প্রাক্কালে দেশীয় পরিস্থিতি ও করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ২৫-২৭ মার্চ ১৯৯৭ ঢাকায় আহূত তিন সংগঠনের গুরুত্ব সম্মেলনে যোগ দেন। এ সম্মেলনে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠাসহ ঐতিহাসিক সাত দফা গৃহীত হয় বলে শোক বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। 

ইউপিডিএফ নেতা প্রসিত খীসা ও রবি শংকর বলেন, শান্তিদেব ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠালগ্নে ১৯৯৮ সালের ২৫-২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় তিন সংগঠনের আয়োজিত পার্টি প্রস্তুতি সম্মেলনে অংশ নেন। পরবর্তীতে তিনি ইউপিডিএফের চট্টগ্রাম ইউনিটে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন এবং নানা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে চট্টগ্রামে সাংগঠনিক কাজের বিস্তার ঘটাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। যুবকদের সংগঠিত করতে তিনি গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠকের দায়িত্বে ছিলেন। 

ইউপিডিএফ নেতারা বলেন, ব্যক্তি জীবনে শান্তিদেব চাকমা অত্যন্ত সরল, অমায়িক ও সাদাসিধে প্রকৃতির ছিলেন। তবে তিনি আপসহীন ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে পার্টির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তার প্রয়াণে পার্টি ও জনগণ একজন যোগ্য নেতাকে হারাল। জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি আমৃত্যু যে অবদান রেখে গেছেন তা পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার

বান্দরবানে সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

সীতাকুণ্ডে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার থানায় সেলফি: অব্যাহতির খবর পেয়ে কনস্টেবল অসুস্থ