চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ও লালদিয়ার চর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে ইজারা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নগরীতে মশাল মিছিল করেছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরের হালিশহর থানার নয়াবাজার থেকে বড়পুল পর্যন্ত এই মশাল মিছিল হয়।
মিছিলের আগে সমাবেশে টিইউসি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি ও শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণশক্তি। এই বন্দর নিয়ে কোনো প্রকার ছিনিমিনি খেলা সহ্য করা হবে না। ডক শ্রমিক, সিঅ্যান্ডএফ শ্রমিকসহ দেশের শ্রমজীবী মানুষের হাতেই বন্দর পরিচালনা হবে, বিদেশিদের হাতে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় নেওয়া একতরফা ইজারার সিদ্ধান্ত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বহাল রেখেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের কৌশলগত সম্পদ বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার এই চক্রান্ত জনগণ কখনো মেনে নেবে না। সরকারকে অবিলম্বে এনসিটি ও লালদিয়ার চর ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে; অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির মাধ্যমে বন্দরসহ সারা বাংলাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।’ শ্রম সংস্কার কমিশনের এই সদস্য ২২ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বিভাগীয় শ্রমিক কনভেনশন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক ও বন্দর সিবিএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার বলেন, ‘চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাম্প্রতিক গণবিজ্ঞপ্তিতে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ। ভবিষ্যতে নতুন করে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করা হলে আন্দোলন আরও বেগবান হবে।’
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হলে স্কপসহ সব শ্রমিক সংগঠন বৃহত্তর ঐক্য গড়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি এস কে খোদা তোতন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক তসলিম হোসেন সেলিম, বন্দর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খোকন প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন, ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের খোরশেদুল আলম, জাহেদ উদ্দিন শাহিন, বিএফটিইউসি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হুনি, বিএমএসএফ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আবসার প্রমুখ।