লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রী-ছেলে ও মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে পেট্রল ঢেলে ঘরে আগুন দিয়েছেন এক ব্যক্তি। তাঁর নাম কামাল হোসেন। এতে তাঁর সাত বছর বয়সী মেয়ে আয়েশা আক্তার ও আবদুর রহমান নামের তিন বছরের এক ছেলে দগ্ধ হয়ে মারা গেছে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত কামালকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে আটক করেছে পুলিশ। তিনি পেশায় অটোরিকশাচালক। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আগুন দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের পুরান চতইল্লার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তাঁরা দরজা খুলে আগুন নেভানোর আগেই কামালের মেয়ে আয়েশা আগুনে পুড়ে মারা যায়। দগ্ধ হন কামালের স্ত্রী সুমাইয়া ও ছেলে আব্দুর রহমান। পরে তাঁদের প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলে আবদুর রহমান মারা যায়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মফিজ উদ্দিন বলেন, কামালকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আগুন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আগুনে পুড়ে ছেলে-মেয়ে দুজন মারা গেছে। তাঁর স্ত্রী ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।