চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের লালদিয়ার চর টার্মিনাল ও পানগাঁও নৌ টার্মিনাল অস্বাভাবিক দ্রুতগতিতে বিদেশি অপারেটরের কাছে ইজারা দেওয়ার চুক্তি হয়েছে অভিযোগ করে ক্ষোভ জানিয়েছে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। একই সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের নিন্দা জানিয়েছে তারা।
আজ সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেওয়া এক বিবৃতিতে স্কপ নেতারা বলেন, শ্রমিক–কর্মচারী, ব্যবসায়ী সমাজ ও দেশের জনগণের ন্যায্য দাবিদাওয়া উপেক্ষা করে সরকারের এ গণবিরোধী ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পাদিত চুক্তি বাংলাদেশের মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। দেশের কৌশলগত বন্দর সুবিধা প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোনো রকম জাতীয় স্বার্থ যাচাই, স্টেকহোল্ডারদের মতামত অথবা পর্যাপ্ত সময় ছাড়াই এ দীর্ঘমেয়াদি ইজারা চুক্তি করা হয়েছে।
অবিলম্বে লালদিয়া ও পানগাঁও টার্মিনালের ইজারা চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে স্কপ নেতারা বলেন, সরকার এনসিটি (নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল) নিয়েও বিদেশিদের সঙ্গে চুক্তির কথা বলেছে; যা জাতীয় স্বার্থবিরোধী ও জনমতের পরিপন্থী। এভাবে একের পর এক কৌশলগত স্থাপনা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিলে দেশের বাণিজ্য, শ্রমবাজার ও অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির ঝুঁকি তৈরি হবে।
স্কপ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত থেকে সরকার যদি অবিলম্বে সরে না আসে, তাহলে ২২ নভেম্বর কনভেনশন থেকে হরতাল ও ঢাকা–চট্টগ্রাম ট্রাংক রোড অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার, শ্রম সংস্কার কমিশনের সদস্য তপন দত্ত, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন সভাপতি এস কে খোদা তোতন ও শ্রমিক নেতা রিজউয়ানুর রহমান খান।