ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক গ্রামে দুই পক্ষের মধ্য দুই দফা সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও শটগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।
গতকাল শুক্রবার ও আজ শনিবার এ সংঘর্ষ হয়। আহতরা আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালসহ কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কারও পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় স্কুলছাত্র রিমন সিএনজি অটোরিকশা করে আশুগঞ্জ রেলগেট থেকে দূর্গাপুর গ্রামে আসেন। এ সময় অটোরিকশা চালক রহুল আমিন ২০ টাকার জায়গায় ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করেন। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রিমনকে মারধর করে রহুল আমিন। পরে রিমন বিষয়টি দূর্গাপুর গ্রামের হাজী বংশের মিজান মিয়া মেম্বারকে জানায়।
মিজান মিয়া বিষয়টি একই গ্রামের রহুল আমিনের বংশ জারু মিয়া বংশের প্রধান ও দূর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রাসেল মিঞাকে জানাতে তাঁর বাড়িতে যান। এরপর ফেরার পথে তাঁর ওপর হামলা চালায় জারু মিঞা বাড়ির লোকজন। এই খবর পেয়ে হাজীর বংশ ও জারু মিয়ার বাড়ি বংশের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
এর মধ্যে হাজী বংশের পক্ষে মোল্লাবাড়ি, হাজী ইউসূব পাড়া ও শরিয়ত উল্লাহ পাড়া এবং জারু মিয়া বংশের পক্ষে নজর বাড়ি, মুন্সিবাড়ি, বামুমুন্সির বাড়ি ও নূরারপাড় বাড়ির লোকজন অংশ নেয়। পরে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্ভাব্য সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।’