চট্টগ্রাম: শুরু থেকে করোনার চিকিৎসা দিয়ে থাকলেও সুযগ-সুবিধার কমতি ছিল চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকসাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে। ৩২ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড থাকলেও হাসপাতালটিতে ছিল না কোন অক্সিজেন প্ল্যান্ট। ছিল না জটিল রোগীদের জন্য আইসিইউ-ভেন্টিলেটর সুবিধা।
তবে সুখবর দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বিশ্ব ব্যাংকের ২ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থায়নে হাসপাতালটিতে আইসিইউ, অক্সিজেন প্ল্যান্টসহ নতুন করে আরও একটি বায়োল্যাব স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা এসেছে।
বিআইটিআইডি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, অনুমোদন নিশ্চিত হওয়ার পর রোববার থেকে ভেন্টিলেটরসহ ৫ বেডের আইসিইউ শয্যা বসানোর কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে বসানো হচ্ছে অক্সিজেন প্ল্যান্ট। করোনার নমুনা পরীক্ষায় স্থাপন করা হচ্ছে আরও একটি বায়োসেফটি (লেভেল-৩) আরটিপিসিআর ল্যাব।
প্রতিষ্ঠানটির সহযোগী অধ্যাপক ও করোনা বিভাগের প্রধান ডা. মামুনুর রশীদ আজকের পত্রিকাকে জানান, আইসিইউ, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও ল্যাব স্থাপনের বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। গতকাল শনিবার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর নেতৃত্বে চারজনের টিম হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁরা সবকিছু দেখে রোববার থেকেই কাজ শুরু করেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের নিচতলায় করোনা ব্লকের একটি কক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে পাঁচ শয্যার আইসিইউ স্থাপন করা হবে।
বিআইটিআইডি ল্যাব প্রধান ডা. শাকিল আহমেদ জানান, নতুন ল্যাবটিও হবে বায়োসেফটি লেভেল-৩ পর্যায়ের। স্থাপনের কাজ শেষ হলে করোনার নমুনা পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম নতুন ল্যাবেই পরিচালনা করা হবে। আর পুরনো ল্যাবে আগের মতোই যক্ষ্মাসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম চলবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মইনুল ইসলাম জানান, ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ারনেস’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পাঁচ শয্যার আইসিইউ, অক্সিজেন প্ল্যান্ট ও বায়োসেফটি ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে।