কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনে গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত এমপি প্রার্থী কে এম ফরিদ আমিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা রুহুল আমিন। তিনি ৪ ডিসেম্বর চৌদ্দগ্রাম থানায় এই অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ ছাড়া ছেলেকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনও করেছেন এই বাবা।
উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের বাংপাই গ্রামে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুহুল আমিন বলেন, ছেলে ফরিদ আমিন ৪ ডিসেম্বর তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পর থেকে অভিযোগটি তুলে নেওয়ার জন্য ছেলে তাঁকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। অন্যথায় তাঁকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী বাবা বলেন, প্রায় সময় ফরিদ আমিন ও তাঁর স্ত্রী নাছরিন আক্তার যোগসাজশ করে তাঁকে মারধর করেন। এসব ঘটনায় থানায় এর আগেও একাধিক জিডি ও অভিযোগ দিয়েছেন।
সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাঁর স্ত্রী ফরিদা বেগম, প্রতিবেশী আবদুল আহাদ ও মরিয়ম এগিয়ে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা রুহুল আমিনের ঘর ভাঙচুর করেন। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিনের দ্বিতীয় স্ত্রী ফরিদা বেগম, আত্মীয় হারেছ মিয়া, হাফেজ দ্বীন মোহাম্মদসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
তবে ফরিদ আমিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আমি আমার বাবাকে মারধর করিনি।’
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম মডেল থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম জানান, পুলিশ অভিযোগ পেয়েছে। শিগগির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের কুমিল্লা জেলা সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ফরিদ আমিন কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রাম আসনের গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী। কেন্দ্র ইতিমধ্যে তাঁকে চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি মনোনয়নপত্র নিয়েছেন এবং আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘বাবাকে নির্যাতনের একটি ঘটনা শুনেছি। ফরিদ আমিনের সঙ্গে আলোচনা করলে বিস্তারিত জানতে পারব।’