চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে হাবিবুর রহমান জিহাদ (১৫) নামের এক চালককে গলা কেটে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অটোরিকশাটি বেচতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হয়েছে দুই ছিনতাইকারী।
আজ বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পৌর সদরের শেখপাড়া বিল্লাবাড়ির পাশের ডোবা থেকে চালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত জিহাদ সন্দ্বীপের মুছাপুর মগধরা এলাকার দিদারুল আলমের ছেলে। সে কাজের সূত্রে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের সোবাহানবাগ (গোডাউন রোড) এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
আটক দুই ছিনতাইকারী হলেন সন্দ্বীপের হারামিয়া এলাকার মানিকের ছেলে বাপ্পি (২২) এবং সেলিমের ছেলে রাজীব (২৫)। বাপ্পি রাজীবের আপন বোনজামাই। তাঁরা পৌর সদর এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে যাত্রীবেশে জিহাদের অটোরিকশায় ওঠেন বাপ্পি ও তাঁর শ্যালক রাজিব। তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটি পৌর সদরের শেখপাড়া এলাকা অতিক্রমকালে বাপ্পি ও রাজিব চালক জিহাদকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে মরদেহটি শেখপাড়া বিল্লাবাড়ির পাশের ডোবায় লুকিয়ে রাখেন। বুধবার ভোরে ছিনতাইকারী বাপ্পি অটোরিকশাটি সীতাকুণ্ডের মাদান বিবিরহাট এলাকার একটি গ্যারেজে বিক্রি করতে নিয়ে যান। এ সময় বাপ্পির কথাবার্তায় সন্দেহ হওয়ায় গ্যারেজ মালিক অটোরিকশার পেছনে থাকা মালিক আকবরের মুঠোফোনে কল করে বিস্তারিত জানান। পরে মালিক আকবর ও জিহাদের পরিবারের লোকজন মাদাম বিবিরহাট এলাকায় ছুটে যান। এ সময় ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ ছিনতাইকারী বাপ্পিকে পৌর সদর বাজারে আনা হয়। পরে উপস্থিত লোকজন বাপ্পীকে মারধরের পর চালককে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যে রাজিবকেও আটক করা হয়।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, জনতার হাতে আটক চালক হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের পর থানা হেফাজতে নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডোবায় লুকানো চালকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। জনতার পিটুনিতে গুরুতর আহত ছিনতাইকারী বাপ্পিকে চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।