প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এসেছেন ওয়াং থাও (৩৫) নামের এক চীনা যুবক। উপজেলার একটি গ্রামের তরুণীর সঙ্গে এক মাস আগে মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে তাঁর পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক হয়। তাঁকে বিয়ে করতেই নাসিরনগরে এসেছেন তিনি।
জানা গেছে, ওয়াং থাও চীনের হেনান প্রদেশের বাসিন্দা। গতকাল শুক্রবার এ দেশে আসেন ওই চীনা যুবক। তরুণী ও তাঁর পরিবার তাঁকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নাসিরনগরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসে। আগামীকাল রোববার (২ নভেম্বর) জেলাজজ আদালতে মুসলিম রীতিতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবেন ওয়াং থাও। নাম রাখবেন আবদুল্লাহ।
সরেজমিনে দেখা যায়, এ ব্যাপারে তরুণীর গ্রামের বাড়িতে কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমেছে। আশপাশের গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশু-বৃদ্ধ সবাই এসেছেন চীনা যুবককে দেখার জন্য। সবার মধ্যে চীনা যুবককে নিয়ে আগ্রহ, কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ সেলফি তুলছেন ও ভিডিও করছেন। ওয়াং থাও চীনা ভাষা ছাড়া অন্য কোনো ভাষা বোঝেন না। মোবাইলে ট্রান্সলেট করে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন তিনি।
সেই তরুণী বলেন, ‘মোবাইলের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে এক মাস আগে আমাদের পরিচয় হয়। সেখানে আস্তে আস্তে আমাদের কথা চলে, পরিচয় রূপ নেয় ভালোবাসায়। পরে সে আমাকে বিয়ে করতে বাংলাদেশে আসছে। সে কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। এখন আইনানুসারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে আমাকে বিয়ে করবে। বিয়ের পর আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।’
চীনা যুবককে জামাতা হিসেবে পাওয়ায় খুশি তরুণীর পরিবারও। তরুণীর মা বলেন, ‘ছেলে চীন থেকে আমাদের বাড়িতে এসেছে। তার সঙ্গে আমার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক। আমার মেয়েকে সে বিয়ে করবে।’ তরুণীর বাবা বলেন, ‘আমরা ছেলের ব্যবহারে খুব খুশি। সে অনেক ভালো মানুষ। বাজার থেকে বোয়াল মাছ, দেশি মোরগ কিনে রান্না করে খাওয়াইছি।’
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দীন বলেন, ‘আমি এ ঘটনা শুনেছি। একজন চীনা নাগরিক প্রেমের টানে এখানে এসেছে।’
নাসিরনগর থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক জাহান-ই-আলম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। সব তথ্য যাচাই করেছি। চীনা ওই যুবক বৈধভাবেই বাংলাদেশ এসেছেন। আমরা বলেছি, কোনো ধরনের সমস্যা হলে আমাদের জানাতে।’