বগুড়ার শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জানে আলম খোকা তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন—আগামী ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত না আসে, তবে নেতা-কর্মীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিজের পথ বেছে নেবেন।
আজ রোববার শহরের সকাল বাজার এলাকার শহীদ গাজীউর রহমান কমিউনিটি সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। কুসুম্বি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহ আলম পান্নার সভাপতিত্বে সভায় কয়েক শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জানে আলম খোকা জানান, ২০২১ সালে তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে শেরপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। এ কারণে বিএনপি তাঁকে বহিষ্কার করে।
তিনি জানান, এ ঘটনার জন্য বহুবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন, স্থানীয় পর্যায়েও সমাবেশ করে কর্মী-সমর্থকদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর অভিযোগ—দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করা অনেক নেতার বহিষ্কারাদেশ বহু আগেই প্রত্যাহার করা হলেও তাঁর ক্ষেত্রে তা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা হলেও তিনি আদর্শচ্যুত হননি। তৃণমূলের আন্দোলন, সংগঠন ও সাম্প্রতিক ’২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।
জানে আলম খোকা দাবি করেন—শেরপুর ও ধুনটের তৃণমূল বিএনপি এখনো তাঁকে মানে, তাঁকে ঘিরেই সংগঠনের মূল শক্তি সক্রিয় রয়েছে।
সভায় নেতা-কর্মীরাও তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। ধুনটের গোপালনগর গ্রামের আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘খোকা সাহেব কোনো দিন বিএনপির বিপক্ষে কথা বলেননি। তৃণমূল এখনো তাঁকে নেতৃত্বে দেখতে চায়।’
এ সময় শেরপুর পৌর বিএনপির সহসভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, শেরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।