ফ্ল্যাট বিক্রির কথা বলে প্রতারণার অভিযোগে বগুড়ায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ওই মামলায় তিনি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এ হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই মামলায় তাঁর স্ত্রী শাহজাদী আলম লিপির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। বর্তমানে তিনি পলাতক রয়েছেন।
বগুড়ার আদালত পুলিশের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল হক মিলনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, হামিদুল আলম মিলন ও তাঁর স্ত্রী বগুড়া শহরে হাউজিং ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বাদী জাহিদুর রহমান তোফা তাঁদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনার পরেও তাঁকে ফ্ল্যাট বুঝে না দিয়ে প্রতারণা করেছেন। এ কারণে তিনি আদালতে মামলা করেন।
সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি হামিদুল আলম মিলন অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বগুড়া-১ আসনে তাঁর স্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। পুলিশ সদর দপ্তরের তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর প্রথমে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, পরে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।