রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) আরও ৩০টি শয্যা দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চলতি মাসেই বিভাগের রাজশাহী ও বগুড়ায় শয্যাগুলো দেওয়া হবে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্যবিভাগের আট জেলার জন্য ১২১টি আইসিইউ শয্যা চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই ৩০টি শয্যা দেওয়া হচ্ছে। বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. হাবিবুল আহসান জানিয়েছেন, এখন রাজশাহী ও বগুড়ায় মোট ৫১টি আইসিইউ শয্যা আছে। এর মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০টি, আর বাকি ৩১টি শয্যা আছে বগুড়ায়। এর মধ্যে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ১৩টি, মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৮টি এবং বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০টি শয্যা রয়েছে।
এ বিভাগের চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলায় কোনো আইসিইউ শয্যা নেই। সম্প্রতি এক সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানতে চান রাজশাহী বিভাগের কোথায় কী সমস্যা আছে। এসময় রাজশাহী বিভাগে আইসিইউ শয্যার সংকটের তথ্য তুলে ধরে স্বস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তখন একটি চাহিদাপত্র দিতে বলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ১২১টি আইসিইউ শয্যা চাওয়া হয়। বিভাগের ৪০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্যও আইসিইউ চাহিদাপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া রাজশাহী ও বগুড়ার সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
এ ব্যাপারে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার আজ সোমবার জানিয়েছেন, ১২১টি আইসিইউ শয্যা চাওয়া হলেও ৩০টি দিতে চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খুব দ্রুতই রাজশাহী বিভাগে যুক্ত হচ্ছে এই শয্যাগুলো। এর মধ্যে ১০টি পাচ্ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বাকি ২০টি শয্যা যাবে বগুড়ায়। নতুন এসব শয্যা বসানোর জন্য এরই মধ্যে রামেক হাসপাতাল, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতাল ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।
ডা. হাবিবুল আহসান বলেন, রামেক হাসপাতালের জন্য ১০টি, বগুড়ার জিয়াউর রহমান হাসপাতালের জন্য ১০টি এবং মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জন্য ৮টি আইসিইউ শয্যা বরাদ্দ হয়েছে। আমরা মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের জন্য আরও দুটি বেড বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
উপজেলা কমপ্লেক্সে আইসিইউ সুবিধা না দেওয়ার ব্যাপারে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, হাসপাতালে শুধু আইসিইউ চাইলেই হবে না। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সাপ্লাই থাকতে হবে। এখন আমাদের জরুরি হলো অক্সিজেন। অক্সিজেন সাপোর্ট না পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ করে লাভ হবে না।
তিনি জানান, রামেক হাসপাতল, শজিমেক হাসপাতাল ও মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্ট আছে। তাই এই তিন হাসপাতালেই নতুন আইসিইউ দেওয়া হচ্ছে। এখন কয়েকটি জেলার হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে সেখানেও আইসিইউ শয্যা দেওয়া হতে পারে।