পিরোজপুরে রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সোহাগ শেখ (৩৩) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভৈরমপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সোহাগ ওই গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মিজান হাওলাদার এই তথ্য জানান।
নিহতের ভাই শিপন শেখ বলেন, তাঁর ভাই সোহাগ শেখকে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নেওয়া হয়। পাশের মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের পাশে স্থানীয় শামসু, এমামসহ কয়েকজন মিলে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শরীর থেকে হাত ও পা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
শিপন শেখ আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও জমি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে ওই পক্ষের বিরোধ ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর শহিদুল নামের একজন খুন হন। সেই মামলায় প্রধান আসামি করা হয় সোহাগ শেখকে। সেই মামলায় কিছু দিন আগে সোহাগ কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাঁর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। আগে কয়েকবার তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজান হাওলাদার বলেন, সোহাগ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ সময় তাঁর ভাগনে সামসুর রহমান কাছেই ছিল। কারা কুপিয়েছে, তা সে দেখেছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষে শত্রুতা ছিল। গত ইউপি নির্বাচনের পর শহিদুল নামের একজন খুন হয়েছে। সেই মামলায় সোহাগকে এক নম্বর আসামি দিয়েছিল তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে শত্রুতার জেরে সোহাগ শেখকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।