বরিশালে তীব্র কুয়াশার কারণে দুই দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকাগামী পাঁচটি বিলাসবহুল লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করেছে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় বরিশাল নৌবন্দর থেকে পাঁচটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়েছে। বিআইডব্লিউটিএর বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কুয়াশার কারণে বরিশালের সড়ক ও নদীপথ কার্যত অচল হয়ে পড়ে। গত রোববার ও গতকাল সোমবার ঢাকা-বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীপথ বন্ধ থাকলেও আজ আবার চলাচল শুরু হয়। তবে কুয়াশার কারণে আট ঘণ্টার যাত্রা ১২ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় নিতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকার উদ্দেশে যেতে বরিশাল থেকে লঞ্চে ওঠা যাত্রী আ. রহমান বলেন, ‘প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে লঞ্চে উঠেছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরাপদে ঢাকা পৌঁছাতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।’
এদিকে ঢাকা-বরিশাল রুটে বাস চললেও কুয়াশার কারণে গতিসীমা কম। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে বরিশাল বাসমালিক গ্রুপ বাসচালকদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দিয়েছে।
ঘন কুয়াশার কারণে গত রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী চারটি ও ভায়া রুটের একটি লঞ্চ যাত্রী নামিয়ে বাতিল করা হয় বিআইডব্লিউটিএর মাধ্যমে। এরপর গতকালও বরিশাল নদীপথে লঞ্চ চলাচল সম্ভব হয়নি। আজ পরিস্থিতি কিছুটা অনুকূলে এলে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। রাত ৯টার দিকে বরিশাল নৌবন্দর থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটের সরাসরি চারটি ও ভায়া রুটের একটি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
এদিকে ঢাকা-বরিশাল রুটের বাস চলাচল বন্ধ না হলেও অতিরিক্ত সাবধানতার সঙ্গে চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে সড়কপথে চার ঘণ্টার যাত্রায় সময় লাগছে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ঘন কুয়াশার কারণে গত চার দিন ধরে সূর্যের দেখা মেলেনি। এ সময় বরিশালে সর্বনিম্ন ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জুলফিকার আলী জানান, সদর দপ্তরের নির্দেশনায় আজ রাত থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে।