কিস্তির টাকা না পেয়ে নিয়ে যাওয়া সেই চিনা হাঁসটি অবশেষে হাফিজা খানমকে ফেরত দিয়েছেন টিএমএসএস এনজিওর কর্মকর্তারা। আজ শনিবার দুপুরে হাফিজার বাড়িতে এসে তারা হাঁসটি ফেরত দিয়ে যান। একই সঙ্গে হাঁসটি যিনি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেই এনজিও কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামের নারী হাফিজা। ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য তিনি। এনজিওটি থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ছিলেন তিনি। গত মঙ্গলবার বিকেলে কিস্তির টাকা না পেয়ে তার বাড়ি থেকে একটি চিনা হাঁস নিয়ে যান এনজিওর কর্মী ফিরোজ খাঁন। হাফিজার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে শখ করে হাঁসটি পালত। এটি নিয়ে ‘শখের হাঁসটি ধরে নিয়ে গেলেন এনজিও কর্মীরা’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসে এনজিওটির কর্মকর্তারা।
টিএমএসএস এনজিওর বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সফিউর রহমান, মাদারীপুর জোনাল কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, বরিশাল জোনাল কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদসহ চারজন কর্মকর্তা তদন্তের জন্য হাফিজার বাড়িতে আসেন। তাঁরা হাফিজা খানম, তাঁর স্বামী মুরাদ হোসেন ও স্থানীয়দের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে গত বৃহস্পতিবার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
হাঁসটি ফেরত পেয়ে হাফিজা বলেন, ‘আমার মেয়ের শখের হাঁসটি ফেরত পেয়ে আমি ও আমার পরিবারের সবাই খুশি হয়েছি।’
এ ব্যাপারে টিএমএসএসের এনজিওর ম্যানেজার মো. রাজেক ইসলাম বলেন, ‘হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে ধরে নেওয়া হাঁসটি আজ দুপুরে ফেরত দিয়েছি। মাঠকর্মী ফিরোজ খানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’