রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর মেরে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার এবং সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে নওগাঁয় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড়ে ‘সংগ্রামী ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে বেলা ১১টা থেকেই সেখানে জড়ো হতে থাকেন শতাধিক শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে একই স্থানে ফিরে আসে।
সমাবেশস্থলে ’চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ’অ্যাকশন টু অ্যাকশন’, ’ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ’যুবদলের চামড়া, খুলে নেবো আমরা’, ’জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’—এমন সব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে মুক্তির মোড় ও আশপাশের এলাকা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নওগাঁ জেলা শাখার অন্যতম নেতা তানজিম বিন বারীর নেতৃত্বে কর্মসূচি পরিচালিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ছাত্রনেতা আরমান হোসেন, সাদনান সাকিব, গণঅধিকার পরিষদের সাকিব হোসেন এবং এনসিপি নওগাঁ সমন্বয় কমিটির সদস্য দেওয়ান মাহবুব আল হাসান সোহাগ।
বক্তারা বলেন, জনসমক্ষে প্রকাশ্য দিবালোকে এক যুবককে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এটি নিছক হত্যাকাণ্ড নয়, এটি চরম বর্বরতা। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে দেশে এমন সহিংসতা চলতেই থাকবে।
তাঁরা আরও বলেন, ‘দেশের প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসনকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সমাবেশ থেকে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, ‘বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট সরকারকে নামাতে আমাদের সময় লাগেনি। এবার আপনারা যদি সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি বন্ধ না করেন, তাহলে আপনাদের বিরুদ্ধেও রাস্তায় নামতে সময় লাগবে না।’
ছাত্রনেতা সাদনান সাকিব বলেন, ‘ঢাকায় এক ব্যবসায়ীকে জনসমক্ষে পাথর দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, আর আমরা চুপ করে থাকব—তা হতে পারে না। বিচার না হলে এবার রাজপথেই সরাসরি অ্যাকশন হবে।
আরেক ছাত্রনেতা আরমান হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি গুম-খুনের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে বিএনপি ৯ মাসে দেড় শতাধিক খুনের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার প্রশ্ন কেন উঠবে না? এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে দেশে সহিংসতা আরও বাড়বে।’