জুলাই আন্দোলনের এক হত্যা মামলায় নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহ আজ সোমবার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড শুনানিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি এই মামলায় জড়িত নই। একের পর এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমাকে রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অসুস্থ। হার্টের রোগী। কারাগারে থাকতেই আমার কষ্ট হচ্ছে। আমাকে রিমান্ডে দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আমার যেকোনো সময়ে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।’
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি ১৯৮৩ সালের বিসিএস ক্যাডার। মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, সে বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। আদালত রিমান্ডে দেবেন কি দেবেন না, সেটা আদালতের বিষয়। তবে আমি যেহেতু অসুস্থ, সে কারণে আমি মাননীয় আদালতের কাছে অনুরোধ করি, আমাকে রিমান্ডে দেবেন না। যদি আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিতে পারেন।’
এদিকে, নজরুল ইসলামকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজিরের পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নজরুল ইসলামের পক্ষে রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানিয়ে শুনানি করেন তাঁর আইনজীবী। কিন্তু আদালত রিমান্ড বাতিলের ওই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের অতিরিক্ত পিপি মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুরের দিকে রাজধানীর গুলশান থানার শাহজাদপুর এলাকায় গুলিতে নিহত হন কামাল হোসেন সবুজ। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িচালক ছিলেন। এ ঘটনায় গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
গত বছরের ১ অক্টোবর নজরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁকে বৈষম্যবিরোধী বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।