পুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরও আটক করতে সক্ষম হব। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুবায়েদ যে বাড়িতে টিউশনি করতেন, সেই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ওই বাসাটি ঘিরে রাখে। দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বংশাল থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, নিহত জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।