হোম > বিশ্লেষণ

মিশেল ওবামাও হতে পারেন আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট

অনেকেই ধারণা করেন, এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না জো বাইডেন। এ ক্ষেত্রে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের আগে তিনি নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন বলেও মনে করেন কেউ কেউ। 

যদি এমন হয়, তাহলে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে হতে পারেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী? 

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক দ্য টেলিগ্রাফের একটি প্রতিবেদন বলছে, বাইডেন প্রার্থী না হলে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে থাকবেন মিশেল ওবামা। 

প্রতিবেদনটির লেখক টিম স্ট্যানলি মত দিয়েছেন, প্রার্থী হিসেবে বাইডেন এখন অজনপ্রিয়। দেখতে দেখতেই তিনি অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন। একই অবস্থা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষেত্রেও। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এ দুজনের বয়সই ভোটারদের বিবেচ্য বিষয় হবে। 

বলা যায়, ‘বাইডেন বনাম ট্রাম্প’—দুই বুড়োর আবারও একটি নির্বাচনী লড়াই দেখতে চান না অসংখ্য আমেরিকান। এ ক্ষেত্রে তরুণ একজন প্রার্থী ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হবেন। 

আরেকটি বিষয় হলো—অনেকেই মনে করেন, মিশেল ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এটি আসলে বারাক ওবামার তৃতীয় মেয়াদ হবে। তিনি মার্কিনিদের মধ্যে এখনো বেশ জনপ্রিয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন ওবামার তৃতীয় মেয়াদ এখনো চলমান রয়েছে। আড়ালে থেকে তিনিই আসলে বাইডেন প্রশাসনের বিদেশনীতির নেতৃত্ব দেন। 

২০২১ সালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ওবামার একটি উক্তিকে ঘিরে এ বিষয়ে একটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ডাল-পালা ছড়িয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, ‘জো এবং প্রশাসন মূলত কাজটি (নিজের শুরু করা নীতি) শেষ করছে।’ 

মাঝখানে ট্রাম্প এসে ওবামার নীতিতে বিরতি টানলেও ওবামা দাবি করেছিলেন, বিরতি শেষে তাঁর আমলের ৯০ শতাংশ লোক আবারও বাইডেন প্রশাসনের ডেস্কে ফিরে এসেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওবামার দাবিটি অতিরঞ্জিত হলেও বাইডেন আমলে হোয়াইট হাউস প্রশাসনে ফিরে আসা তাঁর কর্মীদের সংখ্যাও কম নয়, প্রায় ৭৫ শতাংশ। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রায়ই কৌতুক করেন যে, ওবামা তার আইফোন থেকে দেশ চালাচ্ছেন। 

জানা গেছে, সাবেক প্রেসিডেন্টদের ওয়াশিংটন ডিসি ছেড়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক চুক্তি থাকলেও বারাক ওবামা এটি লঙ্ঘন করে সেখানেই অবস্থান করছেন। এ ছাড়া তিনি খোলাখুলিভাবেই ইন্টারনেট সেন্সরশিপ এবং বন্দুক নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে লবিং করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন। ডেমোক্রেট দলের মাঝেও তাঁর প্রভাব এখনো সুস্পষ্ট। 

বারাক ওবামা দ্বারা প্রভাবিত ডেমোক্র্যাটরা তাঁর নীতির সম্প্রসারণ এবং বাস্তবায়ন দেখতে মিশেলের ওপরও আস্থা রাখতে পারেন। ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে তাঁর আট বছরের অভিজ্ঞতা এ ধরনের আস্থাকে আরও জোরালো করে। 

মিশেল ওবামা অবশ্য প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার ইচ্ছা নেই বলে একাধিক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন। তবে পরিস্থিতি যে কোনো সময় ঘুরেও যেতে পারে, যদি বাইডেন আগামী নির্বাচনের আগে নিজ থেকে অবসরে চলে যান। 

প্রতিবেদনটিতে একটি জরিপও যুক্ত করে দেওয়া হয়। হ্যাঁ অথবা না উত্তরের ওই জরিপটিতে প্রশ্ন ছিল, ২০২৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মিশেল কি যোগ্য প্রার্থী? 

উত্তরে ‘হ্যাঁ’ অপশন বেছে নিয়েছেন ৬৬ শতাংশ পাঠক।

ভারতকে একঘরে করতে দক্ষিণ এশিয়ায় নয়া জোটের সন্ধানে পাকিস্তান, সফল হবে কি

পুতিন জানেন—ইউক্রেনের ‘সময় ফুরিয়ে আসছে’, যুদ্ধ শেষের তাড়া নেই

দোনেৎস্ক: শান্তি-আলোচনার টেবিলে পুতিন-জেলেনস্কির অন্তিম বাধা, এর গুরুত্ব কতটা

কী হবে, যদি বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়

জাপানের ‘লৌহমানবী’ কি দেশকে চীনের সঙ্গে যুদ্ধের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন

পুতিন-মোদির আসন্ন বৈঠকের মূলে কী আছে

শাহেনশাহ-ই-পাকিস্তান: আসিম মুনিরের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার স্বপ্ন কি তাসের ঘর

যে ইমরান খানকে আমি চিনতাম—শশী থারুরের স্মৃতিকথায় আশঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্র-ভেনেজুয়েলার উত্তেজনায় রাশিয়া ও চীন কেন নীরব

দুবাইয়ে তেজস দুর্ঘটনা: সামনে আসছে ভারতের যুদ্ধবিমান কর্মসূচির পুরোনো দুর্বলতা