লুসি স্টোন ১৮৪৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওবারলিন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়া প্রথম মার্কিন নারী। তিনি ছিলেন নারীবাদী, সমাজসংস্কারক ও নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী। লুসি সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন নারীর ভোটের অধিকার, সমান অধিকার এবং দাসপ্রথা বিলুপ্তির পক্ষে। তিনি আমেরিকান নারীবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কণ্ঠস্বর হিসেবে স্বীকৃত।
নারীর অধিকার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে লুসি স্টোন ‘দ্য ওমেন্স জার্নাল’ নামে একটি নারীবিষয়ক পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। ১৮৫৫ সালে বিবাহের পরও লুসি স্টোন স্বামীর পদবি গ্রহণ করেননি। তিনি নিজের নাম রেখেছিলেন লুসি স্টোন। তিনি মনে করতেন, নাম বদলালে নারীদের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়। তখনকার সময়ে এটি ছিল একেবারে অস্বাভাবিক ও সাহসী কাজ। এ সিদ্ধান্ত নারী স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। লুসি দাসপ্রথার বিরুদ্ধেও তাঁর কণ্ঠস্বর সমুন্নত রেখেছিলেন। তখনকার সমাজে নারী ও নারী বক্তাদের প্রচুর বাধা থাকলেও তিনি সেসব বাধা অগ্রাহ্য করে সাহসের সঙ্গে দাবি জানাতেন।
লুসি স্টোন জন্মগ্রহণ করেন ১৮১৮ সালের ১৩ আগস্ট ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্ট ব্রুকফিল্ডে। ১৮৯৩ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি মারা যান।