হোম > প্রযুক্তি

বছরে ৫ লাখ ডলার বেতন দেবে ওপেনএআইয়ের সাবেক ইঞ্জিনিয়ারের স্টার্টআপ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

মুরা মুরাতি ৬ বছর ধরে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই জগতে নতুন একটি নাম ‘থিংকিং মেশিনস ল্যাব’ (টিএমএল)। চলতি বছরের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করা এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে আছেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে পণ্য বাজারে ছাড়ার আগেই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দলে ভেড়াতে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বেতন দিচ্ছে স্টার্টআপটি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে অন্তত চারজন বিদেশি কর্মীকে এইচ-১বি ভিসার আওতায় নিয়োগ দিয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন পাচ্ছেন বছরে ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেতন, একজন পাচ্ছেন ৫ লাখ ডলার। আরেকজন যিনি সহপ্রতিষ্ঠাতা ও মেশিন লার্নিং বিশেষজ্ঞ হিসেবে তালিকাভুক্ত, তিনিও পাচ্ছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এই তথ্য এসেছে মার্কিন অভিবাসননীতির আওতায় জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক নিয়োগসংক্রান্ত ফাইলিং থেকে। অনেক প্রতিষ্ঠানই বেতনসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না, ফলে এ ধরনের নথিপত্র থেকে বেতনের বাস্তব চিত্র পাওয়া যায়। এখানে কেবল মূল বেতনের তথ্য দেওয়া হয়েছে, এতে সাইন-অন বোনাস বা স্টার্টআপ শেয়ার যুক্ত নেই, যা সাধারণত বড় অঙ্কের হয়ে থাকে।

প্রথম প্রান্তিকে এ তথ্য প্রকাশের আগেই মুরাতি প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ সংগ্রহ করেন, যার ফলে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য হয় ১০ বিলিয়ন ডলার। এদিকে, স্কেলএআইয়ের প্রধান নির্বাহী আলেক্সান্দ্র ওয়াংকে নিয়ে ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে মেটার ৪৯ শতাংশ শেয়ার কেনার ঘোষণা এআই প্রতিযোগিতাকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

সম্প্রতি ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যান জানান, মেটা এখন এআই ট্যালেন্ট পেতে ১০০ মিলিয়ন ডলারের সাইনিং বোনাস পর্যন্ত দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে টিএমএলের প্রস্তাবিত গড় বেতন, অর্থাৎ ৪ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ ডলার, বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ছাড়িয়ে গেছে।

উদাহরণস্বরূপ, ওপেনএআই ২৯ জন প্রযুক্তিকর্মীকে গড় ২ লাখ ৯২ হাজার ১১৫ ডলার বেতন দিচ্ছে। তাদের সর্বোচ্চ বেতনধারী পাচ্ছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, আর সর্বনিম্ন পাচ্ছেন ২ লাখ ডলার। অ্যানথ্রপিক ১৪ জনকে গড়ে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ ডলার দিচ্ছে, যেখানে সর্বোচ্চ বেতন ৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার।

চলতি বছরের শুরুতেই একটি বড় নিয়োগ অভিযান চালায় টিএমএল। তাদের দলে যোগ দেন ওপেনএআইয়ের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা বব ম্যাকগ্রু, গবেষক অ্যালেক র‍্যাডফোর্ড, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা জন শুলম্যান, ওপেনএআইয়ের ‘স্পেশাল প্রজেক্টস’ বিভাগের প্রধান জোনাথন ল্যাকম্যান, চ্যাটজিপিটির সহনির্মাতা ব্যারেট জফ এবং ভয়েস মোডে মুরাতির সঙ্গে কাজ করা আলেক্সান্ডার কিরিলভ।

তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, তারা আপাতত নতুন আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে।

কে এই মুরা মুরাতি

মুরা মুরাতি ছয় বছর ধরে ওপেনএআইয়ে কাজ করেছেন। চ্যাটজিপিটিসহ একাধিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি তার তত্ত্বাবধানে তৈরি হয়। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওপেনএআই প্রধান স্যাম অল্টম্যানকে আকস্মিকভাবে বরখাস্ত করলে মুরাতি কয়েক দিনের জন্য অন্তর্বর্তী সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অল্টম্যান ফিরে এলে তিনি আবার সিটিও পদে ফেরেন।

তথ্যসূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

প্রযুক্তির দখল কার হাতে

গুগলের নতুন এআই টুল

বৈদ্যুতিক জাহাজ নির্মাণশিল্পে চীনের আধিপত্য

পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা কতটুক: জেনে নিন বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড

ভুয়া ওয়েবসাইট চেনার উপায়

আগুনের ঝুঁকিমুক্ত ব্যাটারি বানালেন বিজ্ঞানীরা

উসকানিমূলক কনটেন্ট বন্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার

উসকানিমূলক কনটেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মেটাকে বিটিআরসির চিঠি

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব