যুক্তরাষ্ট্রে ব্লক বা নিষিদ্ধ হওয়াসহ কড়াকড়ির আশঙ্কায় সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে চুরি করা ই–বুকের ভান্ডার জেড–লাইব্রেরি। কুখ্যাত এই পাইরেট ই-বুক রেপোজিটরি নতুন ব্রাউজার এক্সটেনশন চালু করেছে, যা এর মূল সাইটে ঢুকতে বাধা এলে ব্যবহারকারীকে ‘রিডাইরেক্ট’ করে জেড–লাইব্রেরির বিকল্প ডোমেইনে নিয়ে যাবে। টরেন্টফ্রিক নামের এক ব্লগে এমন তথ্য দিয়েছে।
নতুন ব্রাউজার এক্সটেনশনটি ক্রোম ও ফায়ারফক্সে পাওয়া যাচ্ছে। জেড–লাইব্রেরি দাবি করছে, নির্বিঘ্ন ও ঝামেলা মুক্তভাবে এই এক্সটেনশনটি ব্যবহার করা যাবে। এই এক্সটেনশন চালুর পর পরই হাজার হাজার ব্যবহারকারী এটি ইন্সটল করে।
জেড–লাইব্রেরির ‘ফাইন্ডার এক্সটেনশন’র মাধ্যমে সাইটের বিকল্প ডোমেইন খোঁজা সহজ হয়ে গিয়েছে। ব্যবহারকারীদের এখন লিংকের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি বিকল্প ডোমেইন খুঁজতে হবে না। ব্রাউজারে এক্সটেনশন চালু করলে বিকল্প ডোমেইন স্বয়ংক্রিয়ভাবে লাইব্রেরির হোমপেজে নিয়ে যাবে।
তবে এই ব্রাউজার এক্সটেনশন ইন্সটলের ক্ষেত্রে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো সময় ক্রোম ও ফায়ারফক্স এক্সটেনশন লাইব্রেরি থেকে ডোমেইনের তালিকা সরিয়ে ফেলতে পারে। ফলে এর কার্যকারিতা থাকবে না। এছাড়াও অন্যের অবকাঠামোর উপর প্রযুক্তিগত নির্ভরতা ভবিষ্যতে সাইটটিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
কার্যকর ডোমেইনে ব্যবহাকারীদের রিডাইরেক্ট করে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বাড়াবে এই অ্যাপ। প্রয়োজনে ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা এড়াতে সক্ষম টর নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হবে।
কপিরাইট বা মেধাস্বত্ত্ব নিয়ে বিশ্বজুড়েই কর্তৃপক্ষ ও পাইরেট সাইটগুলোর মধ্যে চোর-পুলিশ খেলা চলছে। এর মধ্যেই জেড–লাইব্রেরি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে এর কার্যক্রমকে সক্রিয় অপরাধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিছুদিন আগে লাইব্রেরিটি একটি ডেস্কটপ অ্যাপ চালু করেছিল। অ্যাপটির মাধ্যমে সাইটটিতে সহজে ঢোকা যেত।